বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস ও জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কুয়াকাটার বালিয়াড়িতে নির্মাণ করা হচ্ছে বালুর ভাস্কর্য।
সৈকতের জিরো পয়েন্টের ১০০ গজ পূর্বদিকে প্রায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রশস্ত এ ভাস্কর্যে রয়েছে ১৯৫২ সালের বাঙালির ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। আরো তুলে ধরা হয়েছে ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবিসহ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রেক্ষাপট। আগামী ১৭ মার্চ পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে নির্মিত এ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হবে।
খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৬ শিক্ষার্থী গত ৯ মার্চ থেকে দিনরাত পরিশ্রম করে ইতোমধ্যে বালু দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলাদেশের মানচিত্রের ঠিক মাঝখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। এক পাশে ভাষা আন্দোলনের মিছিল; ধারাবাহিকভাবে ৬ দফাসহ মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট। আর ভাস্কর্যের ওপরে-নিচে বালু দিয়ে লেখা হয়েছে- ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, আমার সোনার বাংলা। জয় বাংলা। আমার মায়ের ভাষা, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।’ প্রথমবারের মতো কুয়াকাটা সৈকতে নির্মিত বালুর ভাস্কর্যটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ বেড়াতে আসা পর্যটক।
কুয়াকাটায় আসা পর্যটক মো. কবির হোসেন বলেন, প্রতি বছরই এখানে আসা হয়। আগে যা দেখেছি তা নষ্ট হয়ে গেছে। এবার এসে দেখলাম সৈকতে বালু দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা খুবই ভালো লেগেছে। এ থেকে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছুই জানাতে পারবে।
ভাস্কর্য নির্মাতা দলের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সানি কুমার দাস নিলয় বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে রাজশাহী ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষার্থী দিনরাত সমান তালে এ ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ করছি। এ ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্রে রেখে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬ দফা, বিজয় পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ এ ভাস্কর্যটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। ২৬ মার্চ পর্যন্ত পর্যটকসহ স্থানীয়দের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
নদী বন্দর / এমকে