বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল এলাকায় (কামরাঙ্গিরচর ও হাজারীবাগ) নদীর জমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৭৪টি স্থাপনা আগামী ৩ মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকার জেলা প্রশাসক এবং বিআইডব্লিউটিএর’র চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। নদীর সিএস/আরএস জরিপ অনুসারে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। এই উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে পুলিশের আইজি, র্যাব মহাপরিচালক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ২৬ জুন হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার এ আদেশ দেন। বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট মামলায় এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু রায়।
এইচআরপিবি’র করা রিট মামলায় হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পৃথক এক আদেশে বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (হাজারিবাগ ও কামরাঙ্গিরচর) এলাকায় নদীর জায়গা দখলকারিদের চিহ্নিত করার জন্য জরিপের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নদীর আদি চ্যানেলের সিএস/আরএস পর্চা অনুসারে জরিপ করে অবৈধ দখলকারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ নির্দেশনা অনুসারে নদীর জায়গা দখলকারীদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এই তালিকা অনুযায়ী প্রায় ৭৪টি প্রতিষ্ঠান বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেলের জায়গা দখল করে রেখেছে। এসব স্থাপনার মধ্যে রয়েছে- টিনশেড বাড়ি, চারতলা ভবন, একতলা ভবন, মাটি ভরাট, মসজিদের আংশিক স্থাপনা সহ ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি, সরকারি হাসপাতাল, ইন্ডাস্ট্রি, সুপার মার্কেট প্রভৃতি। এ অবস্থায় এসব স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে এইচআরপিবি।
নদী বন্দর / পিকে