মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ কোটি ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৭ লাখ তিন হাজার ১৭৬ জন। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮২৭ জন।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ। আর প্রাণহানি হয়েছে ১০ হাজার ৪৭৩ জনের। একদিনে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে ব্রাজিল। একদিনে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ১৬৯ জন এবং মারা গেছেন দুই হাজার ৬৫৬ জন।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৫২ হাজার ৪৭০ জন মারা গেছেন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৮ হাজার ৮৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ২৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৯৯ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্ত ও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৬ লাখ ৯ হাজার ৬০১ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪০০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২ লাখ ৪ হাজার ৫৪১ জন।
এদিকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার ৬০০ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৪০৫ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১০ লাখ ৮১ হাজার ৫০৮ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ২৮ হাজার ২৩৯ জন। মারা গেছেন ৯৩ হাজার ৮২৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬ জন।
শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ লাখ ৮০ হাজার ৮৮২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৯২৬ জন। আর ৩৫ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
এদিকে আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, ইতালি সপ্তম, স্পেন অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে আছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৯ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৬২৪ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। এরপর গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
নদী বন্দর / এমকে