প্রকৃতি তার আপন হাতে সাজিয়েছে বান্দরবানের নীলগিরি ও চন্দ্রপাহাড়। পর্যটকরা উপভোগ করেন নয়নাভিরাম পাহাড়ি সৌন্দর্য। কিন্তু পর্যাপ্ত হোটেল-মোটেল বা রিসোর্ট না থাকায় বেশি সময় ধরে ঘুরতে না পারা ও রাতে চন্দ্রপাহাড়ে অবস্থান করতে না পারায় আক্ষেপ জানিয়েছেন আগতরা। আর স্থানীয় নৃগোষ্ঠীরা বলছেন, উন্নয়নের কোনও ছোঁয়া লগেনি এখানে। তাই রিসোর্ট নির্মাণ হলে গতিশীল হবে স্থানীয় অর্থনীতি।
এ যেন চোখ আটকে যাওয়া সৌন্দর্য। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফুট উপরে মেঘ পাহাড়ের মিতালি দেখতে ঢাকার রামপুরা থেকে সপরিবারে বান্দরবানের চন্দ্রপাহাড় ও নীলগিরি ঘুরতে এসেছেন মৌসুমী। এখানে আসা পর্যটকরা পাহাড়ের রূপে বিমোহিত হলেও রিসোর্ট না থাকায় বিশ্রাম নেয়া বা রাতে পাহাড়ে অবস্থানের সুযোগ না থাকায় ফিরে যেতে হয় ৩০ কিলোমিটার দূরে থানচিতে।
এ অবস্থায় আর এন্ড আর হোল্ডিং লি. ও আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের যৌথ প্রচেষ্টায় চন্দ্রপাহাড়ে ২০ একর জমিতে নির্মান করা হবে উন্নত নির্মাণশৈলীর আদলে ফাইভ স্টার মানের সুবিধাসংবলিত রিসোর্ট। পাহাড়ে সংযোজন করা হবে ক্যাবল কার।
স্থানীয়রা বলছেন, যারা বেকার আছে তারা এখানে কাজ করতে পারবে। ফল-ফ্রুট বিক্রি করতে পারবে। এমনকি পর্যটনের ফলের আশপাশের এলাকারও উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
হোটেল মোটেল মালিক সমিতি বান্দরবান সাধারণ সম্পাদক ও চন্দ্রপাহাড় রিসোর্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে এবং তাদের উৎপন্ন শস্যের বিক্রির ব্যবস্থা হবে।
রাস্তাঘাট, পানি, বিদ্যুৎহীন চন্দ্রপাহাড়ে বিশ্বের অত্যাধুনিক ম্যারিয়ট রিসোর্টটি তৈরি হলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ম্রো সম্প্রদায়ের পরিবারিক অর্থনীতি বেগবান হবে বলে আশা তাদের।
নদী বন্দর / এমকে