কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতের বালি দিয়ে নির্মিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। এটাই সৈকতের বালিয়াড়িতে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর ও অবমাননার প্রতিবাদ এবং জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এই ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।
বালিয়াড়িতে আঙুল উঁচিয়ে আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাশে লেখা ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ১০ শিক্ষার্থী। এটি বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় বালি ভাস্কর্য।
শিক্ষার্থীরা জানান, অনেকেই এখন ভাস্কর্যের সঙ্গে মূর্তি এক করে ফেলেছে। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলতে পারি যে, আসলে এটা এক নয়। শিল্পীদের পক্ষ থেকে আমরা শৈল্পিক একটা প্রতিবাদ উপস্থাপন করেছি। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে এই মহান নেতার প্রতিকৃতি নির্মাণ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের ধৃষ্টতা যাতে আর কেউ না দেখায় তারই প্রতিবাদে এই ভাস্কর্য নির্মাণ।
ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের সমন্বয়ক ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, ধর্মান্ধ এবং উগ্রবাদিদেরকে একটা বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, তারা যেন আর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে কিংবা অপসারণের মতো দৃষ্টান্ত আর না দেখায়।
ভাস্কর্য ভাঙার নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বলছে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জাতির পিতার ভাস্কর্য থাকবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, আমাদের জাতির পিতার অস্তিত্ব পৃথিবী যতদিন পর্যন্ত আছে ততো দিন থাকবে। মূলত এই বার্তাটা পৌঁছে দেয়ার জন্যই বালুময় সমুদ্র সৈকতে কোন জাতির পিতার ভাস্কর্য এটাই প্রথম।
প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর এই ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার।
নদী বন্দর / এমকে