নারী অধিকার বিষয়ক ইউরোপের ঐতিহাসিক ‘ইস্তাম্বুল সনদ’ সনদ থেকে বেরিয়ে গেছে তুরস্ক। এই সনদ ত্যাগের বিরুদ্ধে ওই শহরের নারীরা বিক্ষোভ করেছেন।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে ইউরোপের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা কাউন্সিল অব ইউরোপ। সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল মারিয়া বুরিচ বলেছেন, আঙ্কারার এই সিদ্ধান্ত তুরস্কের ভেতর এবং বাইরে নারীদের সুরক্ষার পরিপন্থী।
সনদে স্বাক্ষরকারী প্রতিটি দেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে, তাদের ‘বৈবাহিক সম্পর্কের ভেতর ধর্ষণ’ এবং ‘মেয়েদের খৎনা রোধ’সহ নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে আইন তৈরি করতে হবে।
এতে পারিবারিক সহিংসতা রোধ ও তার বিচারের কথাও আছে। কিন্তু তুরস্কের রক্ষণশীলরা বলছেন, এই সনদে যে নারী-পুরুষের সাম্যের কথা বলা হয়েছে তাতে ‘পরিবারকে হেয় করা হয়েছে।’
তাছাড়া এতে যৌন-অভিরুচির জন্য কারও বিরুদ্ধে বৈষম্য না করার কথা আছে- যা তাদের ভাষায় ‘সমকামিতাকে উৎসাহিত করে’ বলে রক্ষণশীলরা বলেন।
তুরস্কের পরিবারবিষয়ক মন্ত্রী জেহরা জুমরুট তুরস্কের ওই সনদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ দেখাননি, তবে বলেছেন, তার দেশের সংবিধানে নারীর অধিকার সংরক্ষিত রয়েছে।
দেশটির বিরোধীদল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির একজন নেতা গোকচে গোকচেন টুইট করেন, সনদটি ত্যাগ করার অর্থ হলো তুরস্কে ‘নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখা এবং তাদের হত্যার শিকার হতে দেয়া।’
তুরস্কের একটি সংগঠনের হিসাব মতে, গতবছর সেখানে কমপক্ষে ৩০০ নারী হত্যার শিকার হয়েছেন এবং আরও বেশি নারীকে সন্দেহজনক অবস্থায় মৃত পাওয়া গেছে।
তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান প্রায় দুই দশক ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন এবং তার সমালোচকরা তার বিরুদ্ধে দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ বৈশিষ্ট্যহানি এবং সামাজিক রক্ষণশীলতা প্রসারের অভিযোগ এনে থাকেন। সূত্র : বিবিসি
নদী বন্দর / জিকে