কুষ্টিয়ার খোকসায় রাতের আঁধারে খেতের উঠতি চৈতালী ফসল পেঁয়াজ-রসুন চুরির হিড়িক পড়েছে। আতঙ্কিত কৃষকরা বাধ্য হয়ে জমির ফসল রক্ষায় রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেছেন।
উপজেলায় চৈতালী ফসল পেঁয়াজ-রসুনের আবাদ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ উপজেলায় প্রায় ২৭৫০ একর জমিতে চারা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার কয়েকগুণ বেশি।
উপজেলা শিমুলিয়া, জয়ন্তী হাজরা, শোমসপুর, জানিপুর ও ওসমানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে জমি থেকে উঠতি পেঁয়াজ রসুন চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক ফসল রক্ষায় রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেছেন।
শিমুলিয়া ও জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, চোর চক্র শক্তিশালী হওয়ায় তারা থানা পুলিশে অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না।
শনিবার দুপুরে ঝালুকাদহ ডাঙ্গীপাড়া ও পাথালদৌড় গ্রমের সোইবাদার বিলসহ একাধিক বিল ও মাঠে সরেজমিন গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা হয়।
শুধু সোইবাদার বিলে প্রায় ২শ একর জমিতে পেঁয়াজ রসুন আবাদ হয়েছে। এই মাঠ থেকে রাতের আঁধারে কৃষকের পেঁয়াজ তুলে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। তাই অনেক কৃষক পেঁয়াজ রসুন পরিপক্ক হওয়ার আগেই জমি থেকে তুলে নিতে শুরু করেছেন।
স্থানীয় কৃষক আকরাম হোসেন জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিনি খেত থেকে পেঁয়াজ তুলবেন। কিন্তু বুধবার রাতের আঁধারে তার একটি জমি থেকে প্রায় ১৫ মণ পেঁয়াজ তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। চোর চক্র প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি থানায় অভিযোগ করার সাহস পাননি।
একই মাঠ থেকে ফরহাদ নামের অপর এক কৃষকের জমির প্রায় ২০ মণ পেঁয়াজ তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
পাথালদৌড় মাঠের কৃষক সাহেব আলী জানান, সম্প্রতি এক রাতে দুর্বৃত্তরা তার জমি থেকে প্রায় ৫/৬ মণ পেঁয়াজ তুলে নিয়ে গেছে।
এ মাঠ থেকে কৃষক হেলাল ও সেকেন আলীর প্রায় ১০ কাঠা জমির রসুন তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, কৃষকরা কেউ অভিযোগ করলেই তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।
নদী বন্দর / জিকে