অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রধান শহর সিডনিতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। রোববার মধ্যরাতে প্রবল বর্ষণ শুরু হলে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
দেশটির সরকার বলছে, এমন বন্যা ১০০ বছরে একবারই আসে। সিডনির জরুরি বিভাগের সহকারী কমিশনার ডিন স্টোরে বলেছেন, অবস্থা খুবই খারাপ। সব কমিউনিটির মানুষকে ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
টেলিভিশন ফুটেজে নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের টারে শহরে নদীতে একটি বাড়ি ভেসে যেতে দেখা গেছে। স্থানীয় মিলনায়তনে প্রায় দেড়শ’ মানুষ রাতে আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে দাবানলের সময় এটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
অনুমোদিত আশ্রয়কেন্দ্র ক্লাব টারের প্রধান নির্বাহী পল অ্যালেন এ বন্যাকে বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রচার মাধ্যম এবিসিকে তিনি বলেন, কিছু স্থানীয় বাসিন্দা বন্যায় সব হারিয়েছেন। এ সপ্তাহের মধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সিডনির বেশির ভাগ এলাকায় খাওয়ার পানির জোগান দেয়- দ্য ওরেগামবা ড্যাম। শনিবার বিকেলে সেটি প্লাবিত হয়েছে। সুপেয় পানির রিজার্ভারে ১৯৯০ সালের পর থেকে এই প্রথম এ ধরনের ঘটনা ঘটলো।
দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববারও সিডনিসহ রাজ্যজুড়ে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকবে। কিছু কিছু জায়গায় ২০০ মিলিমিটার (৭.৯ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
জরুরি সেবা সংস্থা জানিয়েছে যে, তারা গত রাতে ছয় শতাধিক কল পেয়েছে। তার মধ্যে ৬০ জনেরও বেশি বন্যা থেকে তাদেরকে উদ্ধারের আবেদন জানান।
টেলিভিশন ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যে, বন্যার তোড়ে ভেসে যাচ্ছে বাড়ি-গাড়ি। রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে গিয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে এবং রাস্তার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন শনিবার বন্যা পরিস্থিতিকে ‘হৃদয়বিদারক দৃশ্য’ উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং জরুরিক্ষেত্রে সেনাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
নদী বন্দর / এমকে