1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
বোরোতে ভালো উৎপাদনের আশা কৃষিমন্ত্রীর - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১
  • ১৫০ বার পঠিত

বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে, তাই বোরোতে ভালো উৎপাদনের আশা করছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (২১ মার্চ) সচিবালয় থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। একই সঙ্গে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ বছর হাইব্রিড ধানের আবাদ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল, সেটিও লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। আশা করা যায়, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধানের উৎপাদন অনেক ভালো হবে।’

তিনি বলেন, ‘হাওরসহ সারাদেশের ধান সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারলে বোরোতে অনেক ভালো ফলন হবে।’ এছাড়াও শুধু ধান নয়, মাঠে অন্যান্য ফসলের উৎপাদন পরিস্থিতিও ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর বোরোতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ লাখ ৫ হাজার ২০০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লাখ ৪ হাজার ৬৩৩ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মোট আবাদ বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর ও হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে।

এ বছর বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ সহায়তা বাবদ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ বৃদ্ধিতে দেয়া হয়েছে প্রায় ৮৫ কোটি টাকার প্রণোদনা। এ বছর ২ লাখ হেক্টর বেশি জমিতে হাইব্রিড ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এই ছোট দেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি, যা ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে শিল্পায়ন, নগরায়নসহ নানা কারণে চাষের জমি দিন দিন কমছে। এই কম জমি থেকেই আমাদের মূল খাবার চাল উৎপাদন করতে হবে, চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।

‘একই সঙ্গে সব ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যেটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। ভুট্টা, আলু, শাকসবজি, তেল, ডাল ও মসলা জাতীয় ফসলের চাষ ও উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা চলছে। কিন্তু জমি স্বল্পতার কারণে একটির আবাদ বাড়াতে গেলে অন্যটি কমে যায়।’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সব ফসলের উৎপাদন অব্যাহত রাখা ও তা আরও বৃদ্ধি করতে হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গবেষক-বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সবাইকে আরও মনোযোগী হতে হবে।’

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংস্থা-প্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

নদী বন্দর / এমকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com