কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে গত এক মাসে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ী বিলীন হয়েছে। এছাড়া গাছপালা, আবাদি জমিসহ হুমকিতে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী মোল্লারহাট। ভাঙন কবলিতরা পাচ্ছে না মাথা গোঁজার ঠাঁই। প্রকল্প অনুমোদন পেলে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের।
কুড়িগ্রামের উলিপুরের ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন গ্রামের পর গ্রাম। গত পাঁচ বছরে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে ৬ নম্বর ওয়ার্ড। চলতি বছর নদী ভাঙনে তলিয়ে গেছে দুই গ্রামের ৭শ’রও বেশি বতসবাড়ী।
গৃহহীন পরিবারগুলো নদীর তীরে ছাপড়ায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। ভাঙনের মুখে ঐতিহ্যবাহী বাজার মোল্লারহাট। চরাঞ্চলের মানুষের কেনাবেচার জন্য প্রয়োজনীয় এই হাটটি রক্ষায় মানববন্ধনসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েও প্রতিকার মিলছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। তবে স্থায়ী ব্যবস্থার দাবী এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসীরা জানান, তিনবার বাড়ি ভেঙ্গেছে, এখন কোন টাকা-পয়সা নেই তাই কোথাও যেতে পারছি না। গত দশদিনে ৪০টি বাড়ি বিলীন হয়েছে।
জনপ্রতিনিধি বলেন, সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন, এই নদীতে ব্লক ফেলতে হবে।
প্রকল্পের অনুমোদন পেলে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, এটি স্থায়ীভাবে রোধ করার জন্য আমরা ইতিমধ্যে বাজেট প্রেরণ করেছি। খুব তাড়াতাড়ি যদি অনুমোদনটা পেয়ে যাই তাহলে স্থায়ীভাবে কাজ শুরু করতে পারবো এবং ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।
শুধু আশ্বাস নয়, স্থায়ী বাঁধ দ্রুত আলোর মুখ দেখবে প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।
নদী বন্দর / এমকে