পটুয়াখালীসহ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ভুট্টা খেতগুলোতে এবার ‘ফল আর্মি ওয়ার্ম’ পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই পোকার আক্রমণে কৃষকরা এখন অনেকটাই দিশেহারা।
তবে কৃষকদের এই সংকটকালে কৃষি বিভাগ থেকে তেমন কোনো সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেক ভুট্টা চাষির। এখনই এই পোকা দমন করতে না পারলে ভুট্টার ফলনে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার বহালগাছিয়া এলাকার বসুন্ধরা সড়কের পাশের কৃষি জমিতে দেখা যায় এখানে বেশ কিছু জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। পোকার আক্রমণের ফলে গাছের পাতা থেকে শুরু করে কাণ্ড পর্যন্ত পাতাগুলো পোকায় খেয়ে ফেলছে ।
পাতাগুলো ফুটো হয়ে যায় এবং গাছগুলোর কাণ্ড খেয়ে ফেলা এই গাছে আর কোনো ফলন আসবে না। এভাবেই এক গাছ থেকে অন্য গাছে ছড়িয়ে পরছে ভয়ানক এই পোকার আক্রমণ।
ভুট্টা খেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘আগাছা পরিষ্কার করার সময় প্রথমে এই পোকার আক্রমণ দেখতে পাই। প্রথম দিকে আক্রমণ বেশি না হলেও এখন দিন দিন এর পরিমাণ বাড়ছে’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পটুয়াখালী সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুমকি, বাউফল এবং পটুয়খালী সদর উপজেলাসহ অনেক এলাকাতেই এই পোকার অক্রমণ দেখা দিয়েছে।
পোকা দমনে কৃষকদের ‘সাকসেস’ অথবা ‘নাইট্রো’ কিটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্রথমবার স্প্রে করার পরও যদি আক্রমণ না কমে তবে সাত থেকে দশ দিন পর অবার ও কিটনাশক স্প্রে করাতে হবে।’
এদিকে পটুয়াখালী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মার্জিন আরা মুক্তা জানান, এবার আবহাওয়া শুস্ক থাকার কারণে এটির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। পোকার আক্রমণ কমাতে জমিতে সেচ দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নদী বন্দর / পিকে