মোংলা বন্দরে আসছে ঢাকার উত্তারা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের (রেলওয়ে কার) যন্ত্রাংশের প্রথম চালান।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) থাইল্যান্ড পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি এস পি এম ব্যাংকক’ এ আসবে মূল্যবান এই যন্ত্রাংশ। বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এম ভি এসপি এম ব্যাংকক’ এ আসা এই যন্ত্রাংশ বন্দর জেটির ৯ নম্বর ইয়ার্ডে খালাস হবে। মেট্ররেলের (রেলওয়ে কার) যন্ত্রাংশের আমদানিকারক ঢাকার ডি এম টি সিএল।
এখন শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। আর কিছুদিনের মধ্যেই বদলে যাবে রাজধানী ঢাকার অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ব্যবস্থা। শিগগিরই অভ্যান্তরীন রুটে মেট্রোরেলের উড়াল পথে পাড়ি জমাতে যাচ্ছে রাজধানীবাসি। ব্যস্ত নগরবাসী পেতে যাচ্ছে মেট্রোরেলের নানা সুবিধাদি। এর মধ্যদিয়ে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থার এ উন্নয়ন কার্যক্রমের সকল প্রক্রিয়া এখন শেষ পর্যায়ে।
যন্ত্রাংশ বোঝাই বিদেশী ওই জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট ষ্টিমশীপ কোম্পানি লিঃ এর মহাব্যবহস্থাপক মোঃ ওহিদুজ্জামান রবিবার (২৮ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে আরও ১৩৮ টি রেলওয়ে কার আসবে। যন্ত্রাংশ গুলো সব চলে আসার পর উত্তারা থেকে আগাওগাঁও পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম মেট্ররেল চলাচল শুরু করবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যডমিরাল মোহম্মদ মুসা বলেন, ‘প্রথমবারেরমত মোংলা বন্দর দিয়ে দেশের মেট্ররেলের (রেলওয়ে কার) যন্ত্রাংশ আসছে। এর আগে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে এসেছে। দিনে দিনে জাহাজ আগমনের সংখ্যা বাড়ছে। এতেই প্রমান করে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা কত বেড়েছে।’
এই বন্দরকে আরও সক্ষমতা ও গতিশীল করতে নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়ন হলে পুরোপুরিভাবে এই বন্দর আর্ন্তজাতিকভাবে নতুন মাত্রা পাবে। যোগ করেন বন্দরের সর্বচ্চ পদস্থ এই কর্মকর্তা।
বন্দর ব্যবহারকারী হোসাইন মোহাম্মদ দুলাল ও ক্যাপ্টেন মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে মোংলা বন্দর ব্যবহারে এখন সুবিধা পাচ্ছেন তারা। বন্দরের নতুন ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন হওয়ায় এটি ব্যবহারে তারা এখন লাভজনক অবস্থানে আছেন বলেও জানান তিনি।
নদী বন্দর / এমকে