দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্টের সামনে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জনবসতি জায়গা অধিগ্রহন করে সেখানে ওয়েব্রীজ নির্মাণ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং জনবসতি জায়গা রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
রোববার বেলা ১১ টায় হাকিমপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ওই এলাকার ভূক্তভোগীরা। বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কের চেকপোষ্ট থেকে পৌরসভা কার্যালয় পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে জায়গা অধিগ্রহণ করে ‘এক্সেল লোড” প্রকল্পের আওতায় সেখানে সরকারী ভাবে ওয়েব্রীজ স্থাপন করা হবে। সেখানে পণ্য বোঝায় ট্রাকগুলো ওজন করে তারপর দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।
এজন্য প্রায় সাড়ে চার একর জায়গা সরকারী ভাবে অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভূক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন অভিযোগ করেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সড়কের আশপাশের প্রায় ৫২টি পরিবার বস্তুহারা হবে সেই সাথে শত-শত খুদ্র মুদি দোকানী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চারটি ব্যাংক, আবাসিক হোটেল, শতাধিক বহুতল ভবন ভাঙ্গা পড়বে। এতে করে এসব মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে সরকারের প্রকল্প ব্যয়ও অনেক বেড়ে যাবে।
সেই সাথে হিলি স্থলবন্দরের যানজট আরো প্রকট হবে। সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করবে। তাই এই স্থানটি বাদ দিয়ে কাষ্টমসের ওয়ার হাউজের ফাঁকা যায়গা অথবা মুহাড়াপাড়া এলকায় বিজিবি ক্যাম্পের পাশে ফাঁকা মাঠে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে তার জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই এলাকার বাসিন্দা সিএম মানিক। এসময় স্থানীয় তোরাব হাজি, আলহাজ্ব হারুন উর রশিদ, রজিব উশুীন, ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ হারুন, রবিউল ইসলাম সুইটসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / পিকে