শুষ্ক মৌসুমে পুকুর জলাশয় পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নওগাঁর আড়তগুলোতে বেড়েছে মাছের সরবরাহ। কিন্তু সরবরাহের তুলনায় ক্রেতা না থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে ২৫ থেকে ৩০ কেজি টাকা পর্যন্ত কমেছে মাছের দাম। এতে চাষ করা মাছের খাবারের দাম বাড়লেও দফায় দফায় দাম কমায় লোকসানে চাষিরা।
হাঁকডাকে জমজমাট নওগাঁর সান্তাহার মাছের আড়ত। তবে নদীর চেয়ে চাষের মাছই বেশি। মিলছে রুই, কাতল, মৃগেল, পাঙাশসহ নানা ধরনের মাছ। বিল, জলাশয় ও পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় মাছের সরবরাহ ভালো বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ফলে গেল সপ্তাহ থেকে কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে চলছে বেচাকেনা।
সান্তাহার পৌর আড়ত সমিতির সহসভাপতি জিয়াউল হক জিয়া বলেন, বাজারে মাছের সরবরাহ অনেক বেড়েছে। কিন্তু রুই, কাতলসহ সব ধরনের মাছের ধর কম।
এদিকে চাষিদের দাবি, দফায় দফায় খাদ্যর দর বাড়লেও মাছের কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না তারা। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
চাষিরা বলেন, মাছ চাষ করে লাভ নেই। যেভাবে মাছের খাবার দাম বেড়েছে সামনে চাষ করা যাবে না।
জেলা মৎস্য অফিস জানায়, জেলায় ৩৩ হাজার ২৭৬ জন নিবন্ধিত চাষি রয়েছেন। আর ৪৮ হাজার পুকুর ও জলাশয়ে মাছ হয়।
নদী বন্দর / পিকে