পৌষের শুরুতেই সারাদেশে জেঁকে বসছে শীত। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, একদিনের ব্যবধানে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘তাপমাত্রা এখন অনেকটাই কমে গেছে, বেড়ে গেছে শীতের অনুভূতি। আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকালের তুলনায় প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রমান্বয়ে সারাদেশেই তাপমাত্রা আরও কমবে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেই আমরা শৈত্যপ্রবাহ বলবো।’
এখন সকালে ও রাতে নদী অববাহিকায় ভারী এবং অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে। আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক থাকবে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ হামিদ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আর দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী তিনদিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি, একদিন আগে তা ছিল ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে হবে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে হবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
নদী বন্দর / এমকে