শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে স্টিল ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন ক্যামিকেল করপোরেশন ও সুগার করপোরেশনের মাধ্যমে পাঁচ খাতে সৌদি আরবের বিনিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। খাতগুলো হলো- সৌর বিদ্যুৎ, বিদ্যুৎ, ওষুধ, সার ও সিমেন্ট। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
বুধবার (৩১ মার্চ) মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসসা ইউসেফ ইসসা আল দুহাআলানের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিম উদ্দিন ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী নতুন করে বাংলাদেশের শিপ বিল্ডিং, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল এবং এগ্রো ফুড প্রসেসিং শিল্পে সৌদি সরকারকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে শিল্প কারখানা সম্প্রসারণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ আন্তরিক। তিনি শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে বাংলাদেশ সরকার তা যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে শিল্প কারখানা স্থাপনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানাগুলো লাভজনক করতে এর কার্যক্রম সারা বছর চালু রাখার পরামর্শ দেন। অলাভজনক শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করতে নতুন বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে বর্তমানে বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থাপন ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে উল্লেখ করে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে শিল্প কারখানা সম্প্রসারণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে।
এ সময় সৌদি আরবের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ও তাদের কাজের প্রশংসা করেন সৌদির রাষ্ট্রদূত।
এছাড়াও সাক্ষাৎকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন করপোরেশনে সৌদি সরকারের বিনিয়োগের সর্বশেষ অগ্রগতি এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত চূড়ান্ত করার বিষয় সার্বিক আলোচনা হয়।
নদী বন্দর / জিকে