সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাবাটী টুঙ্গিপাড়া এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর অধীনে ৫ নম্বর পোল্ডারের পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকায় প্রায় ৮০ ফুট জায়গা খোলপেটুয়া নদীতে ধসে পড়ে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে নদীতে ভাটা শুরু হওয়ার পরপরই ওই ঘটনা ঘটে।
এদিকে শ্যামনগর উপজেলাকে ঘিরে থাকা উপকূল রক্ষা বাঁধের পশ্চিম দূর্গাবাটি এলাকায় ধসের খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর অধীনে ৫ নম্বর পোল্ডারের দুর্গাবাটি ও পোড়াকাটলা এলাকার বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন মুখে রয়েছে। একাধিকবার জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ জিও ব্যাগ ফেলার পরও ওই অংশ আগে থেকে দেবে যাওয়ার সেখানে ভাঙন নিত্যকার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ওই এলাকা থেকে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ড্রেজিং মেশিনের সহায়তায় লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলনের কারণে সমগ্র এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডলের অভিযোগ, ‘দীর্ঘদিন পাউবো কর্মকর্তারা মাপ নিয়ে জরিপ চালাচ্ছে। নামমাত্র কিছু কাজও হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বেড়িবাঁধের কাজ করতে গিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কাজ শেষ করে।’
পাউবোর এসও শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘শ্যামনগরে যে ২৩টি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ, তা চিহ্নিত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। যে জায়গাটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সেটি জাইকার একটি উপ-প্রকল্পের আওতাধীন ১০ কিলোমিটারের মধ্যে পড়ে। টেন্ডার ওপেন হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। ঠিকাদার নিয়োগ হলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দাতিনাখালীতে আরও দুটি পয়েন্টের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। এরইমধ্যে একটি পয়েন্টে কাজ শুরু হয়েছে।’
পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকার বাঁধের ভাঙন নিয়ে পাউবো’র শ্যামনগর অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগে মাটি ভর্তি করে ভাঙন কবলিত অংশে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। নদীর ওই অংশে স্কাউরিংয়ের মাত্রা বেশি হওয়ায় বার বার ভাঙছে।’
নদী বন্দর / পিকে