নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলায় মাদ্রাসা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব ও ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল আহবান করায় দু পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্বধলা উপজেলা সদরের হিড়িভিটা গ্রামে হিড়িভিটা মফিজিয়া তালিমূল কুরআন নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম ও পরিচালক হাফেজ ওমর ফারুক হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই চলমান মাদ্রাসা কমিটির বৈধ সভাপতি ওয়াদিজ্জামান আজাদকে বাদ দিয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি মাজহারুল ইসলাম সোহেলকে সভাপতি করে নতুন কমিটি গঠন করে গত ৩১ মার্চ ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে প্রচার প্রচারণা শুরু করে।
এ নিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয় এবং দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে যে কোন ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে এবং নির্ধারীত তারিখ ও সময়ে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল স্থগিতের দাবী জানিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে হিড়িভিটা গ্রামের দুলাল তালুকদার ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পূর্বধলা থানার অফিসার-ইনচার্জ (ওসি) বরাবরে লিখিত আবেদন করে।
লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে পূর্বধলা উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ করোনা কালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি লংঘন করে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করায় তা স্থগিত ঘোষণা করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দু পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় দু পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ৬ জন গুরুতর আহত হয়। আহতরা হচ্ছে গিরিয়াশা গ্রামের মন্তাজ আলীর পুত্র ওয়াদিজ্জামান আজাদ (৪৫), শামসুদ্দিনের পুত্র জালাল মিয়া(৪২), বলিয়া কান্দা গ্রামের আঃ মান্নানের পুত্র সায়েম (৩২), হিড়িভিটা গ্রামের মিসির উদ্দিনের পুত্র খোরশেদ উদ্দিন (৪০), আমির উদ্দিনের পুত্র মমিন উদ্দিন (৩৮), মিলন মিয়ার পুত্র শিমুল (২৬)।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ শিবিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে