টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবৈধভাবে আবাদি জমি ও নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রির অপরাধে দুই মাটি ব্যবসায়ীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় হাসান মল্লিক নামে এক ব্যবসায়ীকে এক লাখ ও যুবলীগ নেতা মো. শওকত খানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে চার পথচারীকে ৫ হাজার ৬শ টাকা জরিমানা করা হয়।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার বহুরিয়া ও হাটুভাঙ্গা বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এসব জরিমানা আদায় করেন।
মাটি ব্যবসায়ী হাসান মল্লিক উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের জংশের আলী মল্লিকের ছেলে ও শওকত খান বহুরিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন খানের ছেলে এবং বহুরিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক।
জানা গেছে, মীর দেওহাটা গ্রামের জংশের আলী মল্লিকের ছেলে হাসান মল্লিক দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বহুরিয়া এলাকায় আবাদি জমি ধ্বংস করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিলেন। মাটি ভর্তি ভারি ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে ওই এলাকার আবাদি জমি ও দেওহাটা-গেড়ামাড়া সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছিল।
এমন খবর পেয়ে শুক্রবার ও শনিবার গভীর রাতে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে বহুরিয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ভেকু ও ড্রাম ট্রাকের চালকরা পালিয়ে গেলেও ড্রাম ট্রাকটি জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে হাসান মল্লিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ করে ড্রাম ট্রাক ছাড়িয়ে নেন তিনি।
এছাড়া বহুরিয়া ইউনিয়নের দেওহাটা-গেড়ামাড়া সড়কের চান্দুলিয়া এলাকার শিল্পপতি নুরুল ইসলাম সেতুর কাছ থেকে নদীর পাড় কেটে মাটি কাটার অপরাধে যুবলীগ নেতা মো. শওকত খানকে ৫০ হাজার টাক জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মির্জাপুরের বিভিন্ন স্পটে মাস্ক না পরার কারণে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হোসেন বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।