গরম পড়তেই জ্বর-ঠান্ডা-কাশি বেড়েই চলেছে। হঠাৎ প্রচণ্ড গরম পড়ায় এ সমস্যাগুলো ছোট-বড় সবাইকেই ভোগাচ্ছে।
বিশেষ করে গরম থেকে বাঁচতে ঠান্ডা পানি খাওয়া, সারাদিন এসির মধ্যে থাকা ইত্যাদি কারণে সর্দি-কাশির সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। অনেকেই একে সাধারণ সমস্যা ভেবে উড়িয়ে দেন, যা মোটেও ঠিক নয়। এতে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।
প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়া কিছু উপায়েই কিন্তু সাধারণ ফ্লু এর সমস্যার সমাধান করা যায়। এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধের বদলে ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখুন। এতে আপনার সর্দি-কাশি, বুকে কফ বা শ্লেষ্মা জমার সমস্যার উপশম ঘটবে।
ভারতীয় পুষ্টিবিদ লাভনীত সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে গরমে সুস্থ থাকার উপায় জানিয়েছেন। কয়েকটি টিপস মানলেই আপনি থাকবেন সুস্থ। এমনকি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
নারকেল তেল
নারকেল তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে যা শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতেও সাহায্য করে। নারকেল তেলে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে।
সমীক্ষা অনুসারে, নারকেল তেল আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এমনকি ঠান্ডা-কাশি থেকে মুক্তি মিলবে। তবে অবশ্যই খাঁটি নারকেল তেল খেতে হবে।
আদা-আমলকি
ঘরোয়া উপায়ে সর্দি-কাশি সারাতে আদার কিল্প নেই। সবার রান্নাঘরেই এ উপাদানটি পাওয়া যায়। আদায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এর সঙ্গে আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি যুক্ত হলে বেড়ে যায় গুণাগুণ।
বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অনুসারে, আপনি প্রতিদিন আদা এবং আমলার রস খেতে পারেন। এটি তৈরির জন্য, সকালে ৩০ মিলিলিটার তাজা আমলকির রস এবং এক চা চামচ আদা রস মিশিয়ে একসঙ্গে খান।
আদা চা
গলা ব্যথা ও গলার খুসখুসে ভাব দূর করতে এ সময় আদা চা খাওয়ার অভ্যাস গড়তে পারেন। তবে অবশ্যই চিনি ছাড়া খেতে হবে। দুই কাপ পানিতে কিছুটা আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলেই গলার খুসখুসে ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আদা-মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান গলার গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।
সূত্র: এনডিটিভি
নদী বন্দর / জিকে