ঝালকাঠির ওপর দিয়ে বয়ে গেছে সুগন্ধা ও বিষখালি নদী। হঠাৎ করে লবণাক্ত হয়ে গেছে এ নদীর পানি। গত ৩০ মার্চ থেকে পূর্ণিমার জোয়ারের পানি আসার পর থেকেই পানি লবণাক্ত অনুভব করেন বিষখালির তীরবর্তী মানুষ। হঠাৎ করে নদীর পানি লবণাক্ত হওয়ার বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ফসলহানির শঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা।
স্থানীয়রা বলছেন, এই প্রথম বিষখালির নদীর পানিতে লবণাক্ততা দেখা দিয়েছে। তবে বিষয়টি কতটা মঙ্গল বা অমঙ্গল বয়ে এনেছে তা তাদের কাছে অজানা। কেননা বিষখালি নদী থেকে সাগর অনেক দূরে। এত বছরে নোনা পানি আসেনি। কিন্তু হঠাৎ করেই পানি লবণাক্ত হয়ে যাওয়ায় তাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ পানি বেশিদিন স্থায়ী হবে কি-না, তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। পানিতে বেশি পরিমাণ লবণাক্ততা দেখা দিলে মানুষের জীবনযাপনে অসুবিধা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
বিষখালি নদীতীরের বাসিন্দা মাওলানা আল-আমীন বলেন, ‘আমি মানুষের কাছ থেকে শুনে নিজেই নদীর পানি পান করে দেখি পানি লবণাক্ত। হঠাৎ করে এই পানি কেন লবণাক্ত হলো তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।’
নদীরপাড়ের বাসিন্দা রুবেল ফকির বলেন, আমরা এর আগে এই নদীতে গোসল করতাম। তবে পানি হঠাৎ লবণাক্ত হয়ে যাওয়ায় গোসল করলে শরীর কেমন জানি আঠালো লাগে। নদীর পানি হঠাৎ লবণাক্ত হয়ে যাওয়ায় কৃষির জন্য তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জানতে চাইলে ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ফজলুল হক জানান, জোয়ারে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি নদীতে প্রবেশ করতে পারে। তবে এ পানি আবার চলে গেলে ফসলের কোনো সমস্যা হবে না।