যশোরের শার্শার সোনাতনকাঠি গ্রামে আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জোরপূর্বক পাকা ইট দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মান করে প্রতিবেশী মতিয়ার রহমানে যাতায়াতের পথ বন্ধ করার পাশাপাশি মতিয়ার কে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের জন্য জোর পায়তারা চালাচ্ছে আক্তারুজ্জামান নামে এক স্কুল শিক্ষক।
স্কুল শিক্ষক আক্তারুজ্জামান ঐ গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে ও বামুনিয়া সোনাতনকাঠি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সোনাতনকাটি গ্রামে।
জানা গেছে,সোনাতনকাটি গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে মতিয়ার রহমান বসতপুর ১২৪ মৌজার ১৭০৩ খতিয়ানের সাবেক দাগ নং ৫০০৭ ,হালদাগ ৭০৮২ দাগে ৭১ শতক জমির ভিতরে ১০ শতক ওয়ারেশ সুত্রে প্রাপ্ত হন।আর দুই বোন জবেদা ও জাহানারা তাদের পিতার ওয়ারেশ সুত্রে একই দাগে তাদের ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত ৫ শতক করে মোট ১০ শতক জমি ভাই মতিয়ার রহমানের কাছে বিক্রি ও কবলা দলিল করে লিখে দেন।
উপরোক্ত মোট ২০ শতক জমির ভিতরে মতিয়ার রহমান ৫০০৮ দাগে ৫ শতক জমি ভোগদখল করে আসছে।আর ৫০০৭ দাগে ১৫ শতক জমি ৭১ শতক জমির ভিতরে রহিয়াছে।এই ১৫ শতক জমি নিজের ভোগ দখলে নেওয়ার জন্য মতিয়ার রহমানের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন, পি -১০৬/২১ বিজ্ঞ আদালতের শরনাপন্ন হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে মোকদ্দমা ফৌঃ কাঃ ধারা মোতাবেক শার্শা থানাকে বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অবহিত করেন।শার্শা থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ১লা এপ্রিল বিজ্ঞ আদালত স্বারক নং ১০৮৮ তে উভয় পক্ষই স্ব স্ব অবস্থানে থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মতিয়ার রহমানের ১০শতক জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করে।যার অনুলিপি বাদি রাবেয়া খাতুন শার্শা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর জমা প্রদান করে। এ দিকে বিজ্ঞ আদলতের ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা ভংঙ্গ করে সোমবার সকালে স্কুল শিক্ষক আক্তারুজ্জামান আদালতের ১৪৪ ধারা কে অমান্য করে মতিয়ার রহমানের যাতায়াতের পথ চিরতরে বন্ধ করার লক্ষে সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ শুরু করে।
এময় মতিয়ারের স্ত্রী রাবেয়া এগিয়ে এসে বাধা দিতে গেলে গালি গালাজ করে তাড়িয়ে দেয় বলে রাবেয়া সাংবাদিকদের জানান। কোন কুল কিনারা না পেয়ে রাবেয়া খাতুন শার্শা থানা পুলিশের শরানাপন্ন হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আদালতের ১৪৪ ধারার কাগজপত্র দেখে আক্তারুজ্জামানের সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেয়।
বিষয়টি সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতিয়ার রহমান যাতে পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পায় তার জন্য উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের আশু জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। শার্শা থানার ওসি বদরুল ইসলাম জানান, আদালতের ১৪৪ ধারার কাগজপত্র দেখে আক্তারুজ্জামানের সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে