ভারত থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ভারতে বসবাসরত নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ড সীমান্তে করোনায় আক্রান্ত ২৩ জনকে পাওয়া যাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ জনই ভারতীয়।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভারতীয় যাত্রীদের নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ আমরা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করছি।’
এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এবং ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ভ্রমণ আবার চালু করতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত তা এ সময়ের মধ্যে সরকার পর্যালোচনা করে দেখবে।
আরডার্ন বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে ভারতে করোনার উপস্থিতি এই পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা সাধারণত দেখছি যে কীভাবে উচ্চ ঝুঁকির বিষয়গুলো সম্পর্কে ব্যবস্থা নেয়া যায়। এটি কোনো বিশেষ দেশকে লক্ষ্য করে নেয়া পদক্ষেপ নয়।’
সীমান্তের ভেতরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে নিউজিল্যান্ড। এছাড়া গত ৪০ দিনে কোনো কমিউনিটি সংক্রমণও ঘটেনি।
কিন্তু সীমান্তের ব্যবস্থাপনা পুনর্মূল্যায়ন করে দেখছে দেশটি। কারণ সম্প্রতি আরও বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করেছে। এদের বেশিরভাগই ভারতীয়।
ভারতে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত রোববার (৪ এপ্রিল) প্রথমবারের মতো দৈনিক সংক্রমণ এক লাখ ছাড়িয়ে যায় দেশটিতে। একদিনের সংক্রমণের হারে বর্তমানে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারত। বুধবার দেশটিতে নতুন করে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৬৮৪ জনের।
নদী বন্দর / এমকে