পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীনের পথে গনমান গ্রাম। সন্ধ্যার করালগ্রাসে এ গ্রামের অনেক বসতঘর, বাগানবাড়ি, ফসলী জমিসহ হারিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ। ফলে দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে গনমান গ্রামের মানচিত্র। গত এক সপ্তাহে সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে ওই গ্রামের প্রায় ২০-২৫ শতাংশ বাগানবাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
সন্ধ্যার এ চিত্র দেখে ইতোমধ্যে ভাঙনের আশঙ্কায় আব্দুর রশিদ ও মো. সামসুল হক বসতঘর সরিয়ে নিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গনমান গ্রামের কালাম, আসলাম, কবির, মিজান, ফজলু, আলমগীর, সোহেল, মাসুদ, আবুল, নজরুলসহ অনেকের বসতঘর-ভিটেমাটিসহ গ্রামটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সন্ধ্যার বুকে হারিয়ে গেছে।
গনমান গ্রামের মো. ফজলুল হক জানান, নদী ভাঙনের ফলে এ এলাকার মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে। ভিটেমাটি হারিয়ে অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় অনেক পরিবার এখনও তাদের শেষ আশ্রয়স্থল বসতভিটায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। যুগ যুগ ধরে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনের ফলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বসতঘর, হাজার হাজার একর ফসলী জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ রাক্ষুসী সন্ধ্যা গ্রাস করেছে।
এদিকে কৌরিখাড়া বিসিক শিল্প নগরীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সন্ধ্যানদীর ভাঙনের হুমকির সম্মুখীন। বিগত দিনে উত্তর কৌরিখাড়া ও দক্ষিণ কৌড়িখাড়া ভাঙন কবলিত খেয়াঘাট সংলগ্ন কিছু এলাকায় ব্লক ও জিও টেক্স ব্যাগে বালু ভর্তি করে ফেলে সাময়িক ভাঙন রোধ হলেও দক্ষিণ কৌরিখাড়া, পূর্ব সোহাগদল ও গনমান গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে