বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ইংরেজিতে লেখা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড লাল-কালো কালি দিয়ে মুছে দিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ২৫ মিনিট থেকে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় তারা এ কার্যক্রম শুরু করেন।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, নামফলকের ছড়াছড়ি। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ৩০ দিনের মধ্যে বিদ্যমান সাইনবোর্ডগুলোকে বাংলায় প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল সিটি করপোরেশন। তবে সেই বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা গায়ে মাখেননি কেউই।
প্রসঙ্গত, একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিদেশি দূতাবাস ও প্রতিষ্ঠান বাদে দেশের সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বরপ্লেট, দফতরগুলোর নামফলক এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দেন আদালত।
পরে ২০১৪ সালের ২৯ মে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মাধ্যমে এটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত হয়। তারপরেও সাইনবোর্ড, বিলবোর্ডে বাংলা ব্যবহারে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট আদালত বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেন।
ইংরেজিতে সাইনবোর্ড টাঙানো বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই জানেন না বাংলায় সাইনবোর্ড লেখা নিয়ে আদালতের আদেশের বিষয়ে। ব্র্যান্ডের নাম ও লোগো ইংরেজিতে হওয়ায় ইংরেজিতেই সাইনবোর্ড তৈরি করেছেন বলেও কেউ কেউ দাবি করেন। অথচ ব্যবসা সনদ (ট্রেড লাইসেন্স) নেয়ার সময় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সাইনবোর্ডে বাংলা ব্যবহারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে।
‘সাইনবোর্ড/ব্যানার বাংলায় লিখতে হবে’ এই কথাটি ব্যবসা সনদে আলাদাভাবে লেখাও থাকে।
নদী বন্দর / এমকে