নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় জাকিয়া বেগম (৫৫) ও নিহা বেগম (১) নামের আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় এর আগে নববধূসহ ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৫ শিশু।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে মেঘনা নদীর পৃথক স্থান থেকে এ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জাকিয়া বেগম নলেরচরের আল আমিন গ্রামের নাছির উদ্দিনের স্ত্রী ও নিহা বেগম পূর্ব আজিমপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে।
ঘটনায় এখনও নিখোঁজ শিশুরা হলো: হাতিয়ার নলেরচর (চানন্দি) ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামের নার্গিস বেগম (৪), রুবেল হোসেনের মেয়ে হালিমা বেগম (৫), ভয়ারচর গ্রামের ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন (২), ভোলার মনপুরার কলাতলী গ্রামের মাইন উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া বেগম (৩) ও একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আলিফ উদ্দিন (২)।
কোস্টগার্ড হাতিয়ার স্টেশন অফিসার লে. বিশ্বজিৎ বড়ুয়া মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির পর থেকে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড হাতিয়ার দু’টি ও ভোলার একটি ডুবুরিদল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধার অভিযান চলাকালে শনিবার সকালে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ভোলার গজারিয়া মেঘনা নদী থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় শিশু নিহা ও পরে মনপুরা থেকে জাকিয়া বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অপর নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার মনপুরা উপজেলার কলাতলী গ্রামের বেলাল মিস্ত্রীর ছেলে ফরিদ উদ্দিন বিয়ে করতে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের আল আমিন গ্রামে যান। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বিকাল ৩টার দিকে ৭০-৭৫ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারযোগে চানন্দি ঘাট থেকে মনপুরার কলাতলী গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেন। পথে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনা নদীর টাংকিরখাল-ঘাসিয়ারচরের মাঝামাঝি এলাকায় তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা বর ও নববধূসহ সকল যাত্রী নদীতে পড়ে যান। এদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতার দিয়ে কূলে উঠলেও বেশিরভাগ যাত্রী নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলার ও নৌকার মাধ্যমে রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বরসহ অন্তত ৫৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।
নদী বন্দর / এমকে