রমজান মাসের প্রথম জুমার নামাজে রাজধানীর মসজিদগুলোতে আজ (শুক্রবার) মুসল্লিদের ঢল নামে। জুমার নামাজ পড়তে আসা বেশিরভাগ মুসল্লি মাস্ক পরে এলেও জায়গার অভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে উপস্থিত হন মুসল্লিরা। দেখতে দেখতে বেশিরভাগ মসজিদই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মসজিদ প্রাঙ্গণে জায়গা না হওয়ায় শত শত মুসল্লি রাস্তায় দাঁড়িয়ে জুমার নামাজ আদায় করেন।
দুপুর ১টার দিকে রামপুরার সালাম বাগ মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, হাজারের অধিক মুসল্লির উপস্থিতিতে মসজিদ প্রাঙ্গণ পুরোটাই ভরে গেছে। মসজিদ প্রাঙ্গণে জায়গা না হওয়ায় কয়েকশ মুসল্লি রাস্তায় জায়নামাজ পেতে জুমার নামাজে অংশ নেন।
মসজিদটিতে জুমার নামাজ আদায় করা মো. আল মামুন বলেন, প্রতি জুমার নামাজেই এই মসজিদে মুসল্লিদের চাপ থাকে। তবে আজ রোজার প্রথম জুমা হওয়ায় মুসল্লিদের উপস্থিতি অন্যদিনের তুলনায় বেশি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন করোনাভাইরাসকে ভয় পায় না। গত বছর যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয়, মানুষ তখন বেশ ভয়ে ছিল। ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস হতো না। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের ভয় আগের মতো নেই।’
মসজিদটিতে জুমার নামাজ আদায় করা আরেক মুসল্লি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ রোজার প্রথম জুমার নামাজ হওয়ায় মসজিদে ভিড় হবে ধারণা করেছিলাম। এজন্য ১টার আগেই মসজিদে চলে আসি। তারপরও মসজিদের ভেতরে জায়গা পাইনি। এজন্য মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করতে হয়েছে।
রামপুরার মতো খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুরের বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে বিপুল সংখ্যক মুসল্লিদের আগমনের তথ্য পাওয়া গেছে। মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করা মো. মনির হোসেন বলেন, আমাদের মসজিদে প্রতি জুমার নামাজে মুসল্লিদের ভিড় হয়। তবে আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় বেশি ছিল।
তিনি বলেন, মুসল্লিরা শান্তিপূর্ণভাবে মসজিদে ও রাস্তায় অবস্থান নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়া করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ীর ধলপুরের মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আজ রোজার প্রথম জুমার নামাজ। মসজিদে ভিড় হবে এটাই স্বাভাবিক। দুপুর ১টার আগেই মুসল্লিদের উপস্থিতিতে মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। করোনার ভয় দূরে ঠেলে মসজিদে উপস্থিত হয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের মসজিদে যেতে কেউ কোনো বাধা দেয়নি।
নদী বন্দর / জিকে