পবিত্র মাহে রমজান শুরু ও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি কারণে দ্বিতীয় ধাপের সর্বাত্মক লকডাউনে দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি স্থানীয় বাজারে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি বেড়েছে সবজির দাম। হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
এদিকে চাহিদা তুলোনায় আমদানি কম হওয়ায় বেড়েছে সবজির দাম, এমনটিই বলছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।
আজ দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,পবিত্র মাহে রমজান ও সর্বাত্মক লকডাউনের আগের দিনে প্রতিটি সবজির দাম যা ছিলো, তা মাহে রমজান ও লকডাউন শুরুতে বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। প্রকার ভেদে বেগুনের দাম ছিলো ৩০ টাকা, লকডাউন ও রমজানের শুরুতে তা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। ৮ টাকার শসা, এখন ৫০ টাকা, পটলের দাম ছিলো ৪০ টাকা, এখন তা ৬০ টাকা কেজি। ঢেঁরস ছিলো ২৫ টাকা এখন তা ৫০ টাকা। বাঁধা কপি ছিলো ১০ টাকা পিচ,তা বেড়ে এখন ৫০ টাকা পিচ। বাজারে প্রতিটি সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবজি কিনতে আসা একজন ভ্যান চালক বাবুল হোসেন বলেন, এক, দুই দিনে এতো সবজির দাম বেড়ে গেছে? ভাবতেই পারতেছি না। আমরা গরীব মানুষ, দিন খাঁটি, দিন খায়। এখন তো রমজান মাস, তারপর আবার লকডাউন, সারাদিন ভ্যান চালায়ে যা কামাই হয় তা দিয়ে আর সংসার চলছে না। আবার দেখছি প্রতিটি সবজির দাম নাগালের বাহিরে। কি যে করি! লতিফা নামে একজন সবজি ক্রেতার সাথে কথা হয়, তিনি বলেন, সবজি বাজার করতে এসে আমি হতবাক হলাম। বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। হঠাৎ এতো দাম বাড়লে, আমরা সাধারণ মানুষ কি ভাবে চলবো? কাকে বলব,আর কে বা শুনবে!
হিলি বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও শাহাদাৎ হোসেন বলেন, মাহে রমজান ও লকডাউনে সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে আমরা কি করব? আর দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সাথে কথা বেশি বলতে হচ্ছে। এদিকে আবার লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি আগের তুলনায় অর্ধেক। কি যে করি ভাই ভেবে পাচ্ছি না।
বাজারে কথা হয়, পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমানের সাথে তিনি বলেন,লকডাউনের কারণে রমজানের শুরুতে হঠাৎ করে সবজি বাহির থেকে কম আমদানি হচ্ছে। আবার চাহিদা ও বেশি, যার কারণে বেশি দামে আমাদের কিনতে হচ্ছে। আবার তা বেশি দামে বিক্রি করছি। আমদানি বৃদ্ধি পেলে সবজির বাজার আবার কমে আসবে বলে মনে হচ্ছে।
নদী বন্দর / এমকে