জয়পুরহাটের পুরানাপৈল রেলগেটে বাস-ট্রেন সংঘর্ষে বাসের ১২ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দর রহিম, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিষ কুমার মণ্ডল, পাকশী বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার শাকিল আহমেদ।
এর আগে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বাসের ১২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি রাজশাহীতে যাচ্ছিল। পাঁচবিবি থেকে ছেড়ে আসা বাসটি জয়পুরহাটে যাওয়ার পথে পুরানাপৈল রেলগেটে উঠে পড়ে। এতে ট্রেনটি ওই বাসকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন পাঁচজন।
নিহতদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বাসচালক সদর উপজেলার হারাইল গ্রামের মামুনুর রশিদ, হিচমী গ্রামের মানিকের ছেলে রমজান, পাঁচবিবি উপজেলার আটুল গ্রামের সরোয়ার হোসেন, আরিফুর রহমান রাব্বি, আক্কেলপুর উপজেলার চক বিলা গ্রামের দুদু কাজীর ছেলে সাজু মিয়া এবং নওগাঁর রানী নগর উপজেলার বিজয়কান্দি গ্রামের বাবু।
আহতরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার ফারুখ হোসেন, একই উপজেলার সিরাজুল ইসলামের ছেলে জিয়া, টাঙ্গাইলের মাটিকাটা গ্রামের শুকুর আলীর জুলহাস।
খবর পেয়ে জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়।
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি আলমগীর জাহান জানান, আহতদের অবস্থা গুরুতর থাকায় তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শীতের সকালে ওই লেভেল ক্রসিংয়ে গেইটম্যান না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীর।
এ দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
নদী বন্দর / পিকে