শিশুদের মারামারিকে কেন্দ্র করে এক গ্রামের লোকজন অপর গ্রামের লোকজনের বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসী হামলায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুর ১টার দিকে বারহাট্টা উপজেলার বাউশী ইউনিয়নের শাসনউড়া গ্রামে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোণা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের শহিদুল্লাহ্’র ছেলে বাবু প্রায় ১০ দিন আগে পাশ্ববর্তী বারহাট্টা উপজেলার বাউশী ইউনিয়নের শাসনউড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী শিশু জাহাঙ্গীরকে মারধর করে। জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই রুবেল বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাবুকে দুটি চড় মেরে শাসন করে।
বিষয়টি বড় আকার ধারণ করায় পরবর্তীতে রুবেলের বাপ চাচারা বাবু’র বাপ চাচারের সাথে সালিশে বসে মিট মিমাংসা করে দেন। গত শনিবার শাসনউড়া গ্রামের রুবেল বাউশী বাজারে গেলে চরপাড়া গ্রামের বাবুর ভগ্নিপতি উজ্জলের নেতৃত্বে কয়েকজন রুবেলকে বেদড়ক
মারপিট করে মাথা পাটিয়ে দেয়। এ ঘটনায় শাসনউড়া গ্রামের লোকজন চরপাড়া গ্রামের নেতৃস্থানীয় লোকজনের কাছে প্রতিবাদ জানিয়ে ন্যায় বিচার প্রার্থণা করে। এরই প্রেক্ষিতে চরপাড়া গ্রামের উজ্জল ও শাহজাহানের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে রবিবার দুপুরে শাসনউড়া গ্রামের হারেছ মিয়া, জজ মিয়া, লাক মিয়া, আসির উদ্দিন ও সুমন মিয়ার বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর শুরু করে।
এ সময় সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে হারেছ মিয়া (৫০), জজ মিয়া (৫৫), সারু মিয়া (৩০) ও রাজিব মিয়া (২২) আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে হারহাট্টা হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত জজ মিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নদী বন্দর / পিকে