লকডাউনের কারণে সারাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আংশিক স্থবির থাকলেও তার কোনো প্রভাবই পড়েনি দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলায়। গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী লকডাউন শুরু হলেও রোববার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত মোংলা বন্দরের আমদানি- রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বন্দরের হারবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বন্দরে মোট জাহাজ এসেছে ৪৯টি। তার মধ্যে কন্টেইনারের জাহাজ দুটি। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থবিধি মেনে অফিশিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বন্দরের বহিনোঙর, হারবারিয়া চ্যানেলসহ জেটিগুলোতে অবস্থানরত জাহাজসমূহে অপারেশনাল কার্যক্রম চালু রয়েছে। আমদানি-রফতানিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে সর্তকতা হিসেবে মোংলা বন্দর নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থী প্রবেশ (সীমিত আকারে), অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা পরীক্ষা, বন্দরের অফিসসমূহে এবং বন্দর এলাকায় করোনার সতর্কীকরণমূলক বিভিন্ন ধরনের ব্যানার স্থাপন, বন্দরের মসজিদসমূহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যেও বন্দরের কার্যক্রম সচল রাখতে মোংলা বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, স্টিভের্ডস ও অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীর সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমরা যেহেতু বন্দরে সকল স্টেক হোল্ডারদের সমন্বয়ে কাজ করছি ফলে করোনার মধ্যে মোংলা বন্দরে কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চলমান রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিতে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম স্বাভাবিক রাখতে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও কাচাঁমাল সরবরাহ যেন ঠিক থাকে, সেজন্য মোংলা বন্দরে ২৪ ঘণ্টা স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।