চলমান লকডাউনে স্বাভাবিক নিয়মেই ভোমরা স্থল বন্দরে কার্যক্রম চললেও পণ্যবাহী গাড়ি কম প্রবেশ করছে। তবে বন্দরে আগত ট্রাক চালক ও শ্রমিকরা কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও সচেতন থাকতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
রোববার (১৮ এপ্রিল)ভোমরা স্থলবন্দর ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, লকডাউনে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও পণ্য পরিবহনে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কাস্টমস কার্যক্রমও চলছে। আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন ও লকডাউনে আটকা পড়ার আশঙ্কায় ভারতীয় ট্রাক চালক ও শ্রমিকরা বাংলাদেশে আসতে চায় না। এ জন্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সময় ও খরচ বেশি হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত চাহিদা না থাকায় পেঁয়াজ, ফলসহ বেশ কিছু পণ্যর আমদানি কমে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতনতামূলক প্রচারণা করেছি। কয়েকদিন আগে শ্রমিক সংগঠনের কাছে মাস্ক দেয়া হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনুরোধ করেছি। তবে অনেকেই তা মানছে না।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতারা বলছেন, বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করছেন শ্রমিকরা। তারা কোথাও জটলা করছেন না।
বন্দরের স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে জানতে চাইলে ভোমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।
ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বলেন, লকডাউনের বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আগের চেয়ে কম গাড়ি প্রবেশ করছে। রমজান উপলক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরিবর্তে আমদানি রফতানি কার্যক্রম চলছে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। স্বাভাবিক নিয়মে বন্দরে ভারত থেকে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ পণ্যবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করলেও বর্তমানে প্রবেশ করছে একশ থেকে দুইশ ট্রাক। তাদের অফিসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
নদী বন্দর / জিকে