শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সন্তানকে মারধরের বিচার চাইতে গিয়ে ইদ্রিস সরদার (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে বুকে ঘুষি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। রোববার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের রুদ্রকর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইদ্রিস সরদার ওই গ্রামের মৃত মকদম আলী সরদারের ছেলে। তিনি একজন কৃষক ছিলেন।
পরিবারের জানায়, রোববার বিকেলে ইদ্রিস সরদারের ছেলে শাওন সরদার (১০) প্রতিবেশী ইসমাইল ঢালীর পুকুর পাড়ের গর্তে মাছরাঙা পাখির ছানা খুঁজতে যায়। এসময় প্রতিবেশী মৃত ইউসুফ আলী সরদারের ছেলে রুবেল সরদার (২৫) শাওনকে মারধর করে।
এরপর শাওনের বাবা ইদ্রিস সরদার ও মা পেয়ারা বেগম এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে রুবেলের বাড়িতে যান। তখন রুবেল সরদার, তার মা কুলসুম বেগম (৬০) ও বোন জরিনা বেগম (৪০) মাটিতে ফেলে ইদ্রিস সরদারকে এলোপাথাড়িভাবে ঘুষি দিতে থাকেন। এতে ইদ্রিস আহত হয়ে জ্ঞান হারান।
পরিবার তাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইদ্রিস সরদারের বড় ছেলে রাসেল সরদার বলেন, রুবেল, কুলসুম ও জরিনা মিলে আমার বাবার বুকে ঘুষি মেরে তাকে হত্যা করেছে। আমি ওদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। এ হত্যার বিচার চাই।
তবে রুবেলসহ তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তারা পলাতক রয়েছেন।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, পরিবার ইদ্রিস সরদারের মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নদী বন্দর / এমকে