সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা থেকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিতের জন্য ২০১৯ সালে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন কঠোরভাবে সুপারিশ করে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর পাঠানো শতাধিক এমপির সই করা চিঠিতে বলা হয়, ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং আন্তর্জাতিক আইন রক্ষাই শুধু নয়, মিয়ানমার সরকার এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক পরবর্তী গণহত্যা বন্ধে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি দেয়া বন্ধ করতে হবে।
যৌথ বিবৃতিতে ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলি এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে বহু বছর ধরে পার্লামেন্টেরিয়ানরা সতর্ক করে আসছেন। রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার, তাদের নাগরিকত্ব হরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তারা মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে নরকের জীবনযাপন করছে।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ‘আইসিজে’তে করা মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের উচিৎ বিশ্বমঞ্চে মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখতে নিজের দায়িত্ব পালন করা। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে বিশ্বের দমনমূলক সরকারগুলোর কাছে বাজে একটা বার্তা যাবে। তারা জাতিগত নিধন এবং গণহত্যাকে গ্রহণযোগ্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে থাকবে।
নদী বন্দর / পিকে