কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটন সেবায় চালু হচ্ছে সর্ববৃহৎ বিলাসবহুল ও দ্রুতগতির যাত্রীবাহী ক্রুজ শিপ ‘বে ওয়ান’। এই ক্রুজ শিপে রয়েছে বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট, প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। এছাড়াও রয়েছে রাত্রীযাপনের সু-ব্যবস্থাও। দেশের খ্যাতনামা জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের অর্থায়নে আমদানি করা হয় জাহাজটি।
কক্সবাজারস্থ বে-ওয়ান ক্রুজ শিপের সমন্বয়ক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশনের (আইএমও) রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সমুদ্রগামী তারকামানের জাহাজ ‘বে ওয়ান’-এর ধারণক্ষমতা প্রায় দুই হাজার জন। ১২১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ দশমিক ৩ মিটার ড্রাফটের জাহাজটি সর্বোচ্চ ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে পারে। জাপানের কোবেই শহরের মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজে নির্মিত জাহাজটি। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) এটি যাত্রা শুরু করবে বলে আশা করছি।
এমভি বে ওয়ান জাহাজ ৫০১৯ টন গ্রস রেজিস্টার্ড টনেজ, ১১২০০ বিএইচপি ইঞ্জিন হর্স পাওয়ার, জাহাজের ক্রু সংখ্যা ১৭ জন, যাত্রী সেবায় নিয়োজিত ক্রু’র সংখ্যা ১৫০ জন, জাহাজের দৈর্ঘ্য ৪০০ ফিট, জাহাজের প্রস্থ ৫৫ ফিট, উত্তালসমুদ্র মোকাবিলায় ফিন স্ট্যাবিলাইজার, জাহাজের গতি ২৪ নটিক্যাল মাইল ঘণ্টায় ও যাত্রী ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২০০০ জন। জাহাজটিকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বে-ওয়ান ক্রুজ শিপের সমন্বয়ক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে গত বছর কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে আরেকটি ক্রুজ শিপ চালু করা হলেও সেটির ধারণক্ষমতা মাত্র ৫০০ জনের। আর ‘বে ওয়ান’-এর ধারণক্ষমতা দুই হাজার জনের। বাংলাদেশে এটি এখন সর্ববৃহৎ ক্রুজ শিপ। কেবল অভ্যন্তরীণ রুটে নয়, আইএমওর রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত এ জাহাজ আন্তর্জাতিক রুটেও পরিচালনার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটনসেবা প্রদানকারী অন্য জাহাজগুলো থেকে এমভি বে ওয়ান সম্পূর্ণ আলাদা। অত্যাধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বিলাসবহুল এ জাহাজে ভ্রমণের মাধ্যমে পর্যটকরা নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
সমন্বয়ক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, বে-ওয়ান ক্রুজ শিপটি সাগরের সুগন্ধা পয়েন্টে অবস্থান করবে। প্রতিদিন সকালে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে যাত্রীদের পরিবহন করে সুগন্ধা পয়েন্টে অবস্থানরত ক্রুজ শিপে যাত্রীদের ওঠানো হবে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন পৌঁছাতে যেখানে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে এখন থেকে কক্সবাজার থেকে মাত্র ৩ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সেন্টমার্টিন পৌঁছে যাবে।
যাত্রা : কক্সবাজার থেকে ছাড়বে সকাল- ৮টায়, সেন্টমার্টিন পৌঁছবে- বেলা ১১.০০ ও সেন্টমার্টিন থেকে ছাড়বে বিকাল ৪টায়, কক্সবাজার পৌঁছবে সন্ধ্যা ৭টায়।
ভাড়ার তালিকা: ইকোনমি- ২৫০০ টাকা, আসন সংখ্যা- ৩০০ +, বিজনেস ক্লাস- ৩০০০ টাকা, আসন সংখ্যা- ২০০+, ওপেন ডেক- ৪০০০ টাকা, আসন সংখ্যা-১০০ +, ভি আই পি কেবিন- ২৫,০০০ টাকা, আসন সংখ্যা- ৪ টা, ভি ভি আই পি কেবিন- ৩০,০০০ টাকা, আসন সংখ্যা- ২৮টা।
নদী বন্দর / এমকে