করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২৫ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। ২৫ জনের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ২৪২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬০টি ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার পাঁচটি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৩০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৪টি।
এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ২৬৭ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ৯৯ হাজার ৫৬০ জনে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৮৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৩৫ হাজার ৬০১ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১০ দশমিক শূন্য ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক শূন্য ২০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু সাত হাজার ২৪২ জনের মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ৫২২ জন (৭৬ দশমিক ২৫শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৭২০ জন(২৩ দশমিক শূন্য ৭৫ শতাংশ)।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫ জনের ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন ও ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৫ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রামে চারজন, রাজশাহীতে একজন, খুলনায় দুইজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন রয়েছেন।
নদী বন্দর / জিকে