মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয় নাগা মরিচ। যার বেশির ভাগই বিদেশে রপ্তানি হয়। এ বছরও উৎপাদন বাম্পার ফলন হয়েছে তবে সম্প্রতি, বিছা পোকার আক্রমণে অতিষ্ট কৃষক। কোন কোন জায়গায় গোড়াপচন ও পাতামুড়ানো রোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল রাধানগর এলাকার নাগা মিরিচ চাষী কাজী সামছুল হক জানান, তার ১০ হাজার নাগা মরিচের গাছ রয়েছে। তিনি কীটনাশক ছাড়াই এটি উৎপাদন করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে তার বাগানের বেশ কিছু গাছে বিভিন্ন জাতের বিছা পোকা মরিচ খাওয়া শুরু করেছে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে স্প্রে করেও কোন ফল হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল ভুনবীর নুতন বাগান এলাকার লেবু ও নাগামরিচ চাষী বিধান চক্রবর্তী জানান, তার বাগানে নাগা মরিচে গোড়াপঁচন এবং পাতা মোড়ানো রোগ দেখা দিয়েছে। তিনি জানান, এর আগে শিলাবৃষ্টিতে তার লেবু বাগানের সব ফুল ঝড়ে পড়ে তিনি এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হন এর মধ্যে নাগা মরিচের গাছেও মড়ক ধরেছে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াছমিন মোনালিসা সুইটি জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় প্রায় তিন’শ একর জমিতে নাগা মরিচের চাষ হয়। শ্রীমঙ্গলের নাগামরিচ খুবই আকর্ষণীয়, এটি লাল টকটকে হয় এবং ঝাঁল তীব্র। তবে চলমান মৌসুমে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে বিশেষ করে দিনের প্রথমভাগে উচ্চ তাপমাত্রা ও সন্ধার পর নিন্ম তাপমাত্রার কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে।
তিনি জানান, দু’একটি জায়গা থেকে গোড়া পঁচা রোগ, পাতামোড়া রোগ ও বিছা পোকার আক্রমনের সংবাদ পেয়েছেন। তবে বিছা পোকার আক্রমণ রোধে সুমি আলফা ও বজ্র কীটনাশক খুবই উপকারী।
তিনি জানান, এর ব্যবহার প্রণালী হিসেবে ১ লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার সুমি আলফা ৭ দিন অন্তর দুইবার দিতে হবে। আর পাতামোড়ানো রোগের জন্য কুমুলাস ও ইনসাফ খুবই উপকারী। এর জন্য ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম কুমুলাস দিয়ে ৪ দিন অন্তর দুইবার স্প্রে করতে হয়।
নদী বন্দর / জিকে