অনলাইন চ্যাটিংয়ের জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যের সঙ্গে কাজ করার চিন্তা দীর্ঘদিনের। এবার সেই চিন্তার বাস্তবায়নও হবে বলে জানা গেছে। গত বছর ইনস্টাগ্রামের ডেস্কটপ মেসেজিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফেসবুক মেসেঞ্জার অপশন।
খুব সহজেই দুই মেসেঞ্জার-এর যে কোনও একটি থেকেই অপরটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন সম্ভব। এবার সেই সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়েই, ফেসবুক-এর সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফেসবুক মেসেঞ্জার-এর কোডে এবার থেকে পাওয়া যাবে হোয়াটঅ্যাপ চ্যাটের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের সুযোগ। ফলে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামকে এক সঙ্গে নিয়ে এসে, একটি বৃহৎ চ্যাটিং পরিষেবা গড়ে তোলার যে পদক্ষেপ, সেই পদক্ষেপের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল ফেসবুক।
কোডিং-এর জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ইতালিয়ান আলেসান্দ্রো পালুজ্জির মাথা থেকে এই পুরো পদ্ধতির উদ্ভাবন। ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ-এর মধ্যে যেহেতু সরাসরি সংযোগ স্থাপন সম্ভব নয়, তাই পালুজ্জি একটি অন্য রাস্তা নিয়েছেন। তিনি ফেসবুক মেসেঞ্জার-এর কোডের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট রাখার একটি অপশন তৈরি করেছেন।
ফেসবুক ও হোয়াটস্যাপ-এর মধ্যে এই সম্বন্ধ হবে ঐচ্ছিক। অর্থাৎ একজন মানুষ, যিনি ফেসবুক অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন, একমাত্র তার ইচ্ছা অনুযায়ীই তিনি ফেসবুক-এর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপকে যুক্ত করতে পারবেন। ঠিক যেমনটা ইনস্টগ্রামের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
সেখানে, ডেস্কটপ মেসেজিং থেকে মেসেঞ্জার-এ একজন মানুষ উপনীত হতে পারেন, তার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী। বর্তমানে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ-এর মধ্যেও এমনটাই হবে বলে আশা করছেন নেট-মাধ্যম বিশেষজ্ঞরা।
পালুজ্জি জানিয়েছেন, ফেসবুক মেসেঞ্জার-এর সঙ্গে জড়িত একাধিক নতুন বৈশিষ্ট্য ইতিমধ্যেই হোয়াটঅ্যাপ-এর সঙ্গে সংযুক্তিকরণের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে ৷ বিষয়টি যদিও এখনও বিভিন্ন রকম অপারেটিং সিস্টেমের পরীক্ষাধীন। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, বিগত সপ্তাহে হোয়াটঅ্যাপ-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে মেসেজ ডিজঅ্যাপিয়ারিং-এর পরিষেবা। যা দীর্ঘ দিন ধরে ফেসবুক মেসেঞ্জার-এর বৈশিষ্ট্য ছিল।
গত বছর অগস্ট মাসে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম-এর সংযোগ শুরু হয়েছিল। বর্তমানে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ-এর সংযুক্তিকরণের পদ্ধতিটাও দ্রুততার সঙ্গেই চলছে। তবে কবে থেকে মেসেঞ্চার-এর কোডে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পাওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই যে তা বাজারে আসবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে।
নদী বন্দর / এমকে