ঝিকরগাছা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, কসমস, ডেইজ জিপসি, ডালিয়া ও চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। আর এ ফুলকে ঘিরেই এ অঞ্চলের কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জীবিকা নির্বাহ হয়।
করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কা এবং আম্ফানের কারণে চরম ক্ষতির শিকার হয়েছেন এ অঞ্চলের ফুলচাষিরা। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফের চাষাবাদের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। এরই মধ্যে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণায় পহেলা বৈশাখসহ বিভিন্ন পূজা-অর্চনায় তারা ব্যবসাই করতে পারেননি।
ফুলচাষিরা বলছেন, লকডাউনের কারণে তারা পহেলা বৈশাখে ফুল বেচতে পারেননি। ২০ থেকে ৩০ টাকা শ’ দরেও বিক্রি হচ্ছে না কোন ফুল। অনেক ফুল কেটে ফেলে দিচ্ছেন তারা।
গত বছরের ক্ষতি পোষাতে ঋণ নিয়ে ফের চাষাবাদ করেছিলেন। কিন্তু আবারো লকডাউনের কারণে ঋণের বোঝা নিয়ে তারা ভুগছেন হতাশায়।
ফুলচাষিরা বলছেন, গত বছরের লকডাউনে কোমর ভেঙে গেছে। আর এবারের লকডাউনে তাদের বেঁচে থাকার কোনো আশা নেই। ধারের টাকা কিভাবে দিবেন তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন ফুলচাষিরা।
এ অবস্থায় সমস্যা সমাধানে ফুলকে কাঁচা পণ্য হিসেবে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখার দাবি ফুলচাষি সমিতির।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার্স সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম ফুলকে কাঁচা পণ্য ও একটা সম্ভাবনাময় সেক্টর হিসেবে বিবেচনার দাবি জানান। এটাকে যেন সরকার লকডাউনের বাইরে রেখে পাইকারি দোকানদারদের দোকান খুলে রাখার সুযোগ দেন সে দাবিও জানান তিনি।
যশোর জেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয় এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রায় ৬ হাজার কৃষক।
নদী বন্দর / পিকে