পৌনে ছয় লাখ কোটি টাকার বাজেট হলেও সারা দেশে ডিসিদের মাধ্যমে সাড়ে ১০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে এমন তথ্য উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘এই কথা মানুষের কাছে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘লকডাউনে মানুষের হাহাকার বন্ধে- ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছাও নাগরিক প্রতিকী অবস্থান’ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘কোন সাহসে সরকার এই রিকশাশ্রমিকদের উপর নির্যাতন করল? বাঁশখালীর ঘটনা আপনারা জানেন। সাড়ে ১০ কোটি টাকা, তাও আবার বলছে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই সাড়ে ১০ কোটি টাকা সারা দেশে বিতরণ করা হবে। সরকার কি এতই গরিব? আপনি পৌনে ৬ লাখ কোটি টাকার বাজেট করেছেন আর গরিব মানুষকে দেয়ার জন্য ডিসির মাধ্যমে মাত্র সাড়ে ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন। এই কথা মানুষের কাছে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ করা উচিত ছিল। আজকে যখন আমরা শহীদ মিনারে বসে এই কথাগুলো বলছি তখন তার বোঝা উচিত যে, বড় দুঃখে পড়ে আমরা এখানে এসেছি।’
মান্না আরও বলেন, ‘বরিশালে যেমন রিকশাশ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছিল, ঢাকায় যদি তারা রাস্তায় নামে, লাখো শ্রমিককে পিটিয়ে শেষ করবেন? পারবেন না।’
আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘এতবড় ভাওতাবাজ সরকার। বলছে ৪৫ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দেবে! এক বছর পার হয়ে গেছে , দিয়েছেন টাকা? ৪৬ পার্সেন্ট টাকা আগেই এই সরকারের দালাল চামচারা খেয়ে ফেলে। আর মন্ত্রী বলছেন ৭০ পার্সেন্ট টাকা তাদের কাছে গেছে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে ড. রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।