ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একদিনে তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল, বিকেল ও সন্ধ্যায় বার্ধক্যজনিত কারণে জাতির শ্রেষ্ঠ এ তিন সন্তান মারা যান। পরে তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
তারা হলেন, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কুসুমদি গ্রামের বদিউজ্জামান ওরফে বদিয়ার খালাসি, উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামের মো. হেমায়েত হোসেন ও গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম নিবাসী মো. আবু বকর ওরফে সোনা মিয়া।
জানা যায়, শনিবার সকাল ৭টায় নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বদিউজ্জামান ওরফে বদিয়ার খালাসি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ওইদিন বাদ যোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মিঠাপুর সামাজিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
একইদিন বিকেল ৪টায় ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. হেমায়েত হোসেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে রেখে গেছেন।
হেমায়েত হোসেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন। রোববার (২৫ এপ্রিল) তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার মাগরিবের নামাজ শেষে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন মো. আবু বকর ওরফে সোনা মিয়া। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে পবনবেগ মাদরাসা কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ পৃথিবী ছেড়ে সবাইকেই একদিন চলে যেতে হবে। তবে এভাবে একদিনে তিন সহযোদ্ধাকে চিরবিদায় দিতে হবে এমন কিছু কল্পনা করিনি।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল ইসলাম বলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলাতে একদিনে তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেছেন। পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাদের নিজ নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে