যশোরের অভয়নগরে ডাকাতের হামলায় এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের মা, স্ত্রী ও মেয়ে আহত হয়েছেন।
সোমবার ভোরে উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের চলিশিয়া গ্রামের পালপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাঠ ব্যবসায়ী দেবাশীস কুমার সরকার সঞ্জয় (৪৫) চলিশিয়া গ্রামের মৃত গৌরচন্দ্র সরকারের একমাত্র ছেলে।
আহতরা হলেন- সঞ্জয়ের মা মিনতী সরকার (৬৫), স্ত্রী নিপা সরকার (৩৫) ও একমাত্র মেয়ে দেবিকা সরকার (১৭)।
নিহত দেবাশীষ কুমার সরকার সঞ্জয়ের মা মিনতী সরকার জানান, সোমবার ভোরে মুখোশধারী ৭/৮ জন সশস্ত্র ডাকাত রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। তারা সঞ্জয়ের ঘরে গিয়ে আলমারির চাবি দিতে বলে। না দিতে চাইলে তারা মারপিট শুরু করে। এ সময় সঞ্জয়ের চিৎকারে আমরা ওই ঘরে ছুটে যাই।
সঞ্জয়কে বাঁচাতে তার স্ত্রী নিপা এগিয়ে গেলে ডাকতরা রড ও ছুরি দিয়ে তাকেও গুরুতর জখম করে। এই দৃশ্য দেখে চিৎকার করলে তারা আমাকে ও নাতনি দেবিকা সরকারকে পিটিয়ে জখম করে। পরে ডাকাতরা আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং আমার কাছে থাকা ৩০ হাজার টাকা, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, হাতের চুড়ি ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা আমাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. চন্দন সরকার জানান, হাসপাতালে আসার পূর্বে দেবাশীষ কুমার সরকার সঞ্জয় নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আহত দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং গুরুতর আহত নিপা সরকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই রেজোয়ান জানান, নিহতের ঘরে থাকা আলমারি ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কাটা ছিল। ঘরের মধ্যে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হত্যা রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে দুর্বৃত্তরা গ্রিল কেটে চুরির উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করেছিল। তার স্ত্রীকে গুরুতর অবস্থায় খুলনায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে এবং জড়িতদের চিহ্নিত ও আটকের জন্য তৎপরতা শুরু করেছে।
নদী বন্দর / এমকে