বিএনপিকে করোনা টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য ক্ষমা চেয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠনকে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে বিএনপিসহ তার মিত্ররা এবং কিছু গোষ্ঠী, যারা সরকারের কোনো কাজেই ভালো দেখতে পারে না, তারা করোনা মহামারির শুরু থেকেই মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা গোপনে নয় প্রকাশ্যেই চালিয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত ভারতের টিকা কাজ করবে না- এই প্রচারণা আপনারা চালিয়েছিলেন। আবার সেই টিকা আসতে যখন একটু দেরি হচ্ছিল, তখন অন্য কথা বলা শুরু করেছিলেন, সুতরাং এই বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য প্রথমে আপনাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন।’
‘বিএনপিসহ যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তাদেরকে বলবো, বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাজনীতি না করে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান’, বলেন ড. হাছান।
মন্ত্রী এ সময় জানান, সরকার রাশিয়া, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী মাসেই সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অনেক টিকা আসবে এবং খুব সহসা অন্যান্য দেশ থেকে যে টিকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেগুলোও আসবে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মহামারির মধ্যেও অক্লান্ত কাজ করে যাওয়া গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশংসা করেন এবং গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় মূলধারার গণমাধ্যমগুলোকে অভিনন্দন জানান।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ এ সময় বক্তব্য দেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালীন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার ও অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাত থেকে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী গ্রহণ করেন।
নদী বন্দর / এমকে