শেরপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে ২৩ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শহরের কুসুমহাটি, পূর্ব শেরী, পশ্চিম শেরী ও কসবা মহল্লায় পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ওই পাগলা কুকুরটি মানুষের শরীরের বিভিন্নস্থানে কামড়াচ্ছে। যেখানে মানুষ দেখছে সেখানেই ছুটে যাচ্ছে। কুকুরটিকে ধরতে স্থানীয়রা চেষ্টা চালাচ্ছেন কিন্ত দ্রুতই সে স্থান পরিবর্তন করছে। এখন কুকুরটিকে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।
আহতদের শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহত রবিউল মিয়া বলেন, ‘ওই কুকুরটি কারও পায়ে, কারও হাতে, কারও পেটে আবার কারোর পিঠে অর্থাৎ যাকে যেভাবে পেয়েছে কামড়িয়েছে। কারও কারও কামড়ানোর স্থানে মাংসও উঠে গেছে।’
কুকুরের কামড়ে আহত হাসমত আলী বলেন, ‘আমরা খুব আতঙ্কে আছি ওই পাগলা কুকুরের জন্য। কুকুরটিকে ধরতে আমরা চেষ্টাও করেছি কিন্তু মুহূর্তেই স্থান পরিবর্তন করে কুকুরটি। এজন্য ধরতে পারছি না।’
শেরপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) খাইরুল কবির সুমন বলেন, ‘দুপুর ২টা পর্যন্ত আমরা ২৩ জন আহত রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি। যদি এই পাগলা কুকুরকে ধরতে না পারা হয় তাহলে আরও বেশি ক্ষতি করবে মানুষকে।’
শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম আলহাজ গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি শেরপুর শহরজুড়ে কুকুরের অত্যাচার বেড়েছে। কিন্তু আইনি বাধার কারণে কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার ২৩ জন মানুষকে কামড়ানো ওই পাগলা কুকুরকে ধরতে ইতোমধ্যেই পৌরসভার কনজারভেনসি শাখাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই ওই পাগলা কুকুরটিকে ধরা যাবে এবং সাধারণ মানুষ রক্ষা পাবে।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ বলেন, ‘কুকুরের কামড়ের বিষয়টি আমি শুনেছি। এখন আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
নদী বন্দর / জিকে