পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। ভোর থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপও বাড়তে শুরু করেছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোর থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ও যানবাহন ঘাট এলাকায় আসতে থাকে। এতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য বড় ৩টি ও ছোট ৬টি ফেরি নিয়োজিত রাখা হয়েছে। তবে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা বাড়লে ফেরি সংখ্যাও বাড়বে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৫ শতাধিক প্রাইভেটকারসহ ছোট যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে, যাত্রীরা জানান, আন্তঃজেলা বাস চলাচলে আরও বেশি ভিড় হবে। তাই কয়েক গুণ বেশি ভাড়া ও ফেরিতে গাদাগাদি হলেও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আগেভাগেই বাড়ি যাচ্ছেন তারা।
তারা মিয়া নামে এক ব্যক্তি ঢাকা থেকে ফেরিঘাটে আসেন। তিনি আমাকে জানান, ৫৩০ টাকা দিয়ে ঢাকা থেকে এসে খুব সহজে ঘাটে এসেছেন তিনি। এখন ঘাট পার হয়ে যাবেন নিজ গ্রামের স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে। ঘাটে লম্বা সারির প্রাইভেটকারে দিকে তাকিয়ে বললেন, দেখেন সাংবাদিক ভাই দেশে লডডাউন চলছে। ঢাকা থেকে আসলাম কোনো চেকপোস্ট নেই। নেই ভ্রাম্যমাণ আদালতও। মানুষের মতো আমিও বাড়িতে যাচ্ছি। কোনো সমস্যা হচ্ছে না । ফেরিও চলছে।
তাসনীম জাহান নামে এক নারীর উদ্দেশে কোথায় যাচ্ছেন প্রশ্ন করতেই জানালেন, আমি গ্রামে যাচ্ছি শ্বশুর-শাশুড়িসহ সবার সঙ্গে ঈদ করতে। আমার স্বামী রয়েছে আমার সঙ্গে। আগেভাগেই আসলাম। কারণ আগামীকাল থেকে আন্তঃজেলা বাসের নামের সারাদেশে বাস চলবে। তাতে ভিড় আরও হতে পারে। আর ঈদও নিকটে।
ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন জানান, আমরা সব ধরনের যানবাহন পার করছি। তবে আজ ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ ও যানবাহন বিশেষ করে ছোট যানবাহন বৃদ্ধি পাওয়ায় পারের অপেক্ষায় গাড়িগুলোর দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। তাই ছোট ট্রাক বন্ধ রেখে ছোট যানবাহন পার করছি। বর্তমানে ছোটবড় ১০টি ফেরি চলছে।
নদী বন্দর / পিকে