শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ঘরমুখো যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই।
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বুধবার (৫ মে) ২২তম রোজায়ই দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ এই রুটে বাড়ি ফিরছে। তাই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ভিড় বেড়ে যায়। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার বন্ধ থাকায় যানবাহনের পাশাপাশি লোকজন ফেরিতেই পারাপার হচ্ছে।
মাওয়া প্রান্তে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে অর্ধসহস্রাধিক যানবাহন। ঈদ উপলক্ষ ছাড়াও সর্বাত্মক লকডাউনে কর্মহীন অনেক রাজধানী ছাড়ছেন। তবে গণপরিবহন না থাকায়
লোকজন প্রচণ্ড গরমে নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত যান ও মাইক্রোতে করে কয়েক গুণ বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীর চাপ বেশি। বহরে থাকা ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে।
লকডাউনে ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে যাত্রী ছাড়াও ফেরি দিয়ে লকডাউনের আওতামুক্ত জরুরি পণ্যবাহী যান ও ব্যক্তিগত যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে গাদাগাদি ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাই করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
নদী বন্দর / জিকে