সারাবিশ্বেই সমুদ্র ভ্রমণের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল ক্রুজশিপ বা প্রমোদতরী। তবে দেশে এতদিন কোন ক্রুজশিপ ছিল না। এবার বাংলাদেশেও যাত্রা শুরু হল ক্রুজশিপের। রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বিলাসবহুল ক্রুজশিপ এমভি বে-ওয়ান।
রোববার বিকেলে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কক্সবাজারের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল, কমোডর আবু জাফর মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, কমোডর গোলাম সাদেক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (এডমিন) কামাল উদ্দিন চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, পর্যটকদের আন্তর্জাতিক মানের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিতে জাপান থেকে বিলাসবহুল এই ক্রুজশিপটি আনা হয়েছে। জাহাজটির আগের নাম ‘সালভিয়া মারু’ হলেও বাংলাদেশে নিয়ে এসে এটিকে ‘এমভি বে-ওয়ান’ নামকরণ করা হয়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভের দরিয়ানগরে জাহাজটির জন্য নতুন একটি জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা যুক্ত এমভি বে-ওয়ানে দুই হাজারের মতো যাত্রী পরিবহন করা যাবে।’
জাপানের কোবেই শহরের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি এই ক্রুজশিপটির দৈর্ঘ্য ৩৯৩ ফুট, প্রস্থ ৫৫ ফুট ও প্রায় ১৮ ফুট ড্রাফট রয়েছে। এটির গড় গতি ঘণ্টায় ১৬ দশমিক ১ নটিক্যাল মাইল এবং সর্বোচ্চ গড় গতি ঘণ্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল। তবে বাংলাদেশের সমুদ্রপথে এই জাহাজটি প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১৮ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে পারবে। উত্তাল সমুদ্র মোকাবেলায় জাহাজটিতে ফিন স্ট্যাবিলাইজার সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রমোদতরীটিতে প্রেসিডেন্ট স্যুট, বাংকার বেড কেবিন, টুইন বেড কেবিন, আরামদায়ক চেয়ারসহ বিভিন্ন ধরনের আসন রয়েছে। এছাড়া একটি রেস্তোরাঁ, স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিন এবং কয়েন পরিচালিত ঝর্ণা রয়েছে।
কামাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, আগামীকাল সোমবার থেকেই জাহাজটি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে চলবে। কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সকাল নয়টার পর জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। বিকেল সাড়ে তিনটায় জাহাজটি সেন্টমার্টিন থেকে আবার কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ফিরে আসবে।
নদী বন্দর / পিকে