মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নৌযান চলা বন্ধে স্পিডবোটের পর এবার লঞ্চঘাটেও ব্যারিকেড দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুর ২টার দিকে লঞ্চঘাটের নদীর অংশে লোহার পাইপ ও ভাসমান বয়া দিয়ে ঘাটের প্রবেশমুখ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চ ও ট্রলার চলাচলে আর সুযোগ থাকছে না।
এর আগে বুধবার (৫ মে) বিকেলে স্পিডবোট ঘাটে বাঁশ, রশি ও লাল কাপড় দিয়ে ব্যারিকেড দেয় মাওয়া নৌ-পুলিশ।
দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চঘাট ও বিপরীত দিকের চরে নোঙর করা রয়েছে অর্ধশতাধিক লঞ্চ। ঘাটে লঞ্চ প্রবেশ ও বের হওয়ার মুখে নদীতে ভাসমান ড্রামজাতীয় বয়ার মাধ্যমে ড্রেজিং পাইপ দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। স্পিডবোট ঘাটে টহলরত অবস্থায় রয়েছেন নৌ-পুলিশের সদস্যরা। নৌরুটে চলাচলকারী স্পিডবোটগুলোও ঘাটে নোঙর করা রয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, লকডাউনে নির্দেশনা অনুযায়ী নদীতে আর যেন কোনো স্পিডবোট, ট্রলার ও লঞ্চ চলাচল করতে না পারে সেজন্য ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। লকডাউনের ১৬ তারিখ পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলবে।
প্রসঙ্গত, লকডাউনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশনা ছিল। তবে সে নিয়ম উপেক্ষা করেই পদ্মায় চলছিল এসব স্পিডবোট। গত সোমবার (৩ মে) নিয়ম অমান্য করে চলতে গিয়ে মাদারীপুরের শিবচরে কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনায় একটি স্পিডবোটের ২৬ যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচ যাত্রী। এ দুর্ঘটনার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ।
নদী বন্দর / এমকে