চলতি বোরো মৌসুমে মাগুরা জেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলার ফসলী জমিতে ধানের ব্যাপক সমারোহে ভরপুর সবুজ প্রান্তর। জমিতে জমিতে ধানের গন্ধে ম ম করছে চারপাশ।
কৃষাণ-কৃষাণীরা ধান কাটা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে গত বছরের মতো এ বছর ও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেক কৃষক ধান কাটা নিয়ে শ্রমিক সংকটে থাকলেও ধানের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকরা। তাই নিজেরাই পরিবারের সকল সদস্য মিলে এখন ধানের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, এ বছর সদর উপজেলার প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এর মধ্যে উফসী জাতের ব্রি-ধান ৩৫-১৫০ হেক্টর, ব্রি-ধান-৩১-৮০ হেক্টর, ব্রি-ধান-৫৮-৪০ হেক্টর, ব্রি-ধান-৭৪-১০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের হিরা-৩ হেক্টর, সেরা-৩ হেক্টর, নবি-৪ হেক্টর, টিয়া-১ হেক্টর, এসএল ৮ এইস-৬ হেক্টর, আগমনী-৩৯ হেক্টরসহ বিভিন্ন জাতের সর্বমোট দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ফলন হয়েছে।
এ বছরের কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬১ হাজার ৯’শ ৯৪ মেট্রিকটন। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন তারা।
ইতিমধ্যে জেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। এবার ধানের ব্যাপক ফলন হওয়ায় কৃষকেরা আশানুরূপ ফলন গোলায় তুলতে পারবে বলে কৃষকদের আশা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জানান- চলতি মৌসুমে মাগুরা জেলায় সরকারিভাবে বোরো প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের বীজ ধান ও বিনামূল্যে সার দেয়া হয়েছে।
ফলে বোরোতে এবার ভালো ফলন ভালো হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তা হলে জেলায় এবার ১ লাখ ৬২ হাজার ৪’শ ৩৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।
নদী বন্দর / পিকে