1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
রহস্যময় স্থান ‘রকেটের কবরস্থান’ - Nadibandar.com
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ মে, ২০২১
  • ২০৪ বার পঠিত

চীনের লং মার্চ-৫বি ওয়াই২ রকেটটির ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। রোববার (৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রকেটটির ধ্বংসাবশেষ মালদ্বীপের ওপর দিয়ে ভারত মহাসাগরের আরব সাগর অংশে আছড়ে পড়ে। তবে পৃথিবীতে কোনো মহাকাশ যান বিস্ফোরণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এ ছাড়া মহাকাশ যানের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় নিয়ন্ত্রিতভাবে। এসবের ধ্বংসবাশেষ ফেলার জন্য প্রশান্ত মহাসাগরে নির্দিষ্ট জায়গাও আছে। যার নাম ‘রকেটের কবরস্থান’। যেখানে আছে প্রায় ২৬০টি রকেটের ধ্বংসবাশেষ।

রকেট মহাশূন্যে পাঠানো যেমন জটিল, তেমনই এর প্রত্যাবর্তনটাও জটিল। প্রচণ্ড গতি নিয়ে যখন এটি ফিরে আসে তখন ঘর্ষণে এটি বিস্ফোরিত হয়ে যায়। ফলে ছোট রকেটগুলোর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া না গেলেও বড়গুলো বিস্ফোরণের পর ছড়িয়ে পরে পৃথিবীতে। এগুলো যাতে মানুষের ক্ষতি না করে তাই নিয়ন্ত্রিতভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করান বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য থাকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের একটি এলাকা।

পয়েন্ট নিমো নামের সাগর তলের সেই স্থানে ১৯৭১ সাল থেকে চলছে এই চর্চা। শায়িত আছে প্রায় ২৬০টির মত রকেটের ধ্বংসাবশেষ। 

নিমো শব্দের অর্থ ‘কেউ নেই’। নিমো নামক সেই স্থানটি পৃথিবীর ভূমি থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। এর আড়াই হাজার কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই নেই কোনো ভূখণ্ড। তাই এখানে রকেটগুলো পড়লেও কোনো সমস্যা হয় না।

রকেট সায়েন্স শিক্ষার্থী শাহ জালাল জোনাক বলেন, রকেট বানানোর আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে যায়- এটি পৃথিবীতে আর ফিরে আসবে কি আসবে না। সেভাবেই পরিকল্পনা আগায়।

তবে সবসময় পরিকল্পিতভাবে সব কিছু হয় না। গত ৬ দশকে প্রায় ৫২টি রকেট প্রত্যাবর্তন করেছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। যার মধ্যে রোববার আছড়ে পড়েছিল চীনা রকেটটিও। গত বছরও চীনের আরেকটি রকেট পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল। তাই চীনের দায়িত্বশীলতা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে।

নদী বন্দর / এমকে

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com